চিলির বনাঞ্চলে দাবানল: নিহতের সংখ্যা অনেক
মোঃ সাইদুল ইসলাম ইমু
|
নিউজ ডেস্ক: চিলিতে দাবানলের কারণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৪ জনে পৌঁছেছে। ৩ ফেব্রুয়ারি, শনিবার এই দাবানলের শুরু হয়। ৪ ফেব্রুয়ারি, রোববারও তা অব্যাহত ছিল। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। উপকূলীয় শহরগুলোতে ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে যাওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় এবং কেন্দ্রীয় অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষজন তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হওয়ায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক বলেছেন, সামনের দিনগুলোতে মৃতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি, সোমবার ও ৬ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করা হয়েছে। দাবানলের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উপকূলীয় ভালপারাইসো শহরে। এই অঞ্চলের গভর্নর রদ্রিগো মুন্দাকা রোববার বলেছেন, কর্তৃপক্ষ দাবানল মোকাবেলার জন্য ভিনা দেল মার, কুইলপু, ভিলা আলেমানা এবং লিমাচে শহরে কারফিউ বহাল রেখেছে। কুইলপুয়ের মেয়র ভ্যালেরিয়া মেলিপিলান সিএনএন চিলিকে বলেছেন, এই অঞ্চলে দাবানলের আগুনে পৌরসভার প্রায় ১ হাজার ৪০০ টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি যোগ করেছেন, লোকজনকে এসব এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কিছু মানুষ তাদের বাড়ি ছেড়ে যেতে চায়নি। ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে চিলির বিধ্বংসী দাবানলে নিহত ও আহতদের জন্য প্রার্থনা করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে শনিবার একটি টেলিভিশন ভাষণে প্রেসিডেন্ট বোরিক জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আরও সামরিক ইউনিট মোতায়েন করবে। চিলির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যারোলিনা তোহা জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন অংশে প্রায় ৯২ টি দাবানল সক্রিয় রয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪৩ হাজার হেক্টর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। দমকলকর্মীরা ৪০ টি দাবানলের আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং এখনও ২৯টির আগুন নেভাতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশে দাবানলের কারণে ২৩ জন মারা গিয়েছিল। সূত্র: সিএনএন |