২২ দিনের সন্তানকে হত্যা করল বাবা!
|
সময় নিউজ বিডিঃ বাবা- আস্থা, ভরসা আর পরম নির্ভরতার এক নাম। তিনি এমন এক বৃক্ষ, যার ছায়ায় আস্থার খোরাকে বেঁচে থাকার শক্তি পায় সন্তান। তাই প্রতিটি সন্তানের কাছেই বাবা মানে শক্তি আর সাহস। কিন্তু এ সবের ঠিক উল্টো দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বারাই গ্রামের সুভাষচন্দ্র মহন্ত। বাবা হয়েও সে আজ পাষ-। নেশার টাকার জন্য নিজের ঔরসজাত ২২ দিনের সন্তানকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করতেও এতটুকু হাত কাঁপেনি এই মাদকাসক্তের। প্রতিবেশী চন্দ্র মহন্ত ও নন্দ মহন্ত জানান, সুভাষ মহন্ত দীর্ঘদিন থেকে মাদকাসক্ত। কোনো কাজকর্মই করে না। প্রায় দুবছর আগে অনামিকা মহন্তের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। কিন্তু বিভিন্ন সময় স্ত্রীর কাছে টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করত সুভাষ। টাকা না পেলে হাত তুলত স্ত্রীর গায়ে। এর মধ্যে গত বুধবার সন্ধ্যায়ও সে অনামিকাকে মারধর করে। এ বিষয়ে দুপরিবারের সমঝোতার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। কিন্তু সকাল ৭টায় সুভাষ মহন্ত বন্ধ ঘর থেকে চিৎকার করে বলে- ‘আমি আমার বাচ্চাকে কেটে ফেলছি।’ এলাকাবাসী ছুটে এসে ঘরের চালার টিন খুলে ভেতরে গিয়ে নবজাতক সূর্য মহন্তের মরদেহ উদ্ধার এবং পাষ- বাবাকে আটক করে থানায় খবর দেয়। সন্তান হারানো মা অনামিকা মহন্ত বলেন, ‘নেশার টাকার জন্য প্রায়ই আমাকে মারধর করত সুভাষ। গত বুধবার সন্ধ্যায় তিন ঘণ্টা ঝগড়া ও মারপিট করলে আমি শ^শুর বুলোর ঘরে আশ্রয় নিই। কিন্তু সেখানেও সুভাষ আমাকে ও আমার বাচ্চাকে টানাহেঁচড়া করে। সব দেখলেও আমার শাশুড়ি কোনো প্রতিবাদই করেননি। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় আমাকে ঘর থেকে বের করে আমার সন্তানকে ছিনিয়ে নিয়ে ঘর বন্ধ করে বঁটি দিয়ে কেটে হত্যা করে।’ ফুলবাড়ী থানার ওসি মো. ফখরুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে ওই নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার এবং ঘাতক সুভাষচন্দ্র মহন্তকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী থানায় একটি হত্যা ও নারী ও শিশু দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে আসামিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। |