শত কোটি টাকা ঋণ,আশঙ্কা তরমুজ চাষী ৷
মোঃ কামরুজ্জামান স্টাফ রিপোর্টার ৷
|
নিউজ ডেস্কঃ দক্ষিণ বঙ্গ পটুয়াখালী,যেন সবুজে ঘেরা সমারহ তরমুজ গাছের লতায় লতায় জড়ানো চর অঞ্চল ও উপকূল ৷ তবে বিভিন্ন অজানা পোকার আক্রমণের কারণে তরমুজ চাষিরা সংখ্যার মধ্য রয়েছে ৷ জেলায় তরমুজ চাষী তারা আরও জানায় গেল বারের চেয়ে বেশি জমিতে চাষ করেছে ৷ তবে অজানা পোকায় তরমুজ গাছ আক্রমণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ৷ আরো জানায় কোন কোন গাছে ফলন ধরলেও পোকার আক্রমণে গাছের পাতা নিমেষেই গুটিয়ে যায় ৷ যার ফলে লাভবান থেকে আশঙ্কায় রয়েছে পটুয়াখালী জেলার তরমুজ চাষীরা ৷ দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় উপজেলা রাঙ্গাবালী তরমুজ উৎপাদনে অন্যতম প্রধান এলাকা হিসেবে পরিচিত। উপজেলা কৃষকরা এনজিও বা মহাজনের কাছ থেকে মোটা অংকের ঋণ নিয়ে তরমুজ চাষ করেছেন অনেকে। আশা ছিল, ভালো দামে তরমুজ বিক্রি করে শোধ করবেন ঋণ। সেই সঙ্গে স্বচ্ছলতা আসবে কৃষকের সংসারে। কিন্তু এখন ঋণ পরিশোধ করাই দায় হয়ে পড়েছে। কৃষি বিভাগ সূত্রে আরো জানা যায়, তরমুজ লাভজনক ফল হওয়ায় কৃষকরা প্রতিবছরই এর আবাদ বাড়ছে এই দক্ষিণ অঞ্চলে। তবে চলতি মৌসুমে ৪৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে এক হাজার ৮১৯ হেক্টর এর বেশি জমি কৃষকরা তরমুজ চাষের জন্য আবাদ করে । কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি হেক্টরে ৫০ থেকে ৬০ মেট্রিকটন হারে তরমুজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। যা থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচশ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রির সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু আবাদের ১০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় এক হাজার হেক্টর ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে একশ’ কোটি টাকার লোকসান হতে পারে কৃষকের ৷ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পটুয়াখালী খায়রুল ইসলাম মল্লিক দৈনিক জনবাণী কে জানায় |